বন্যা দুর্যোগ ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ
মোঃ মাহামুদুর রহমান পাপন
পলিসি এনালিস্ট, স্থপতি, পরিবেশবিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক
পলিসি এনালিস্ট, স্থপতি, পরিবেশবিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক
বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশটির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দেশটি ২০°৩৪' থেকে ২৬°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮°০১' থেকে ৯২°৪১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ বিস্তৃতি প্রায় ৪৪০ কিমি এবং উত্তর উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ৭৬০ কিমি। বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় রাজ্য, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য এবং মিয়ানমার, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভূমির প্রকৃতির কথা বলতে গেলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ
অংশই সমভূমি। বিশেষ করে, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পলিমাটির সঞ্চয়ের ফলে দেশের
উত্তরাংশ ও মধ্যাংশ সমতল। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে চট্টগ্রামের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জেলায় ছোট ছোট পাহাড় দেখা যায়। দেশটি একটি নদীমাতৃক দেশ হওয়াতে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র
ও মেঘনা নদীসহ অসংখ্য নদ ও নদী দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। বাংলাদেশে উষ্ণ আবহাওয়া
বিরাজ করে, যার ফলে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এদেশের ভৌগোলিক
অবস্থানের কারণে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো বড় হুমকির
কারণ।
ছবিঃ বাংলাদেশের ভৌগোলিক এলিভেশন ম্যাপ
ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের
বন্যার ঝুঁকি অত্যন্ত উচ্চ। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান এবং ভূমির বৈশিষ্ট্যই বন্যা সংঘটিত
হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ।বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় পরেও এই নদীগুলোর পানিধারণ ক্ষমতা
সীমিত এবং বর্ষাকালে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদীগুলোর তীর ভেঙে পানি আশপাশের এলাকায়
ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে বাংলাদেশের বেশিরভাগ অংশই সমভূমি। এই সমভূমি দিয়ে নদীগুলো বয়ে
যাওয়ায় বন্যার পানি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিম্নাঞ্চলে জমে যায়। আবহাওয়ার দিক থেকে
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর
মাসের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, যা বন্যার প্রধান কারণ। হিমালয়ের বরফ গলার পানিও
বাংলাদেশের নদীগুলোতে প্রবাহিত হয়ে বন্যার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।তাছাড়া মানব সৃষ্ট
কিছু কারণেও বন্যা হতে দেখা যাচ্ছে ইদানিং। অবাধভাবে বন উজ্জ্বলন, নদীতে অবৈধ স্থাপনা
নির্মাণ ইত্যাদি কারণে নদীর প্রাকৃতিক গতিপথ পরিবর্তিত হয় এবং বন্যার ঝুঁকি বাড়ে। পরিবেশগত,
সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন্তা করলে বাংলাদেশে বন্যার প্রভাব নেহায়েৎ কম নয়।
বন্যায় প্রতিবছরই হাজার হাজার মানুষের বাসস্থান ও জমিজমা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেকে
প্রাণ হারায়। বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যায় এবং কৃষি উৎপাদন কমে যায়। বন্যার ফলে স্থানীয়
অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার পানিতে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে
এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে।
বর্তমাকে একটি প্রশ্ন সবার মুখেই শুনা যায়, প্রতিবেশী দেশগুলো কি বাংলাদেশের বন্যার জন্য কোনোভাবে দায়ী কিনা। কিন্তু এটি একটি জটিল প্রশ্ন যার সরল কোনো উত্তর নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদী ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে, যেগুলির ওপর বেশ কয়েকটি বাঁধ ও ব্যারাজ নির্মিত হয়েছে। এই বাঁধগুলির মধ্যে কিছু প্রধান বাঁধ ও ব্যারাজ রয়েছে। বাংলাদেশের বন্যার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে এবং এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকাও রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক নদী ভারতের উচ্চভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করে। এই নদীগুলোতে উজানে যে কোনো কার্যকলাপ, যেমন বাঁধ নির্মাণ, জলাধার নির্মাণ বা বন উজ্জ্বলন, বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। ফারাক্কা বাঁধ রয়েছে গঙ্গা নদীতে, যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত এবং এর প্রভাব বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে পড়ে। তিস্তা ব্যারাজ তিস্তা নদীতে অবস্থিত, যা ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত হয়। টিপাইমুখ বাঁধ- যার অবস্থান মণিপুর, বরাক নদী, ধুবরী বাঁধ- যার অবস্থান আসাম, ব্রহ্মপুত্র নদী, পোখরা বাঁধ- যার অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ, মহানন্দা নদী, কংসাবতি বাঁধ- যার অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ, কংসাবতি নদী, শোন নদীর বাঁধ - যার অবস্থান বিহার, শোন নদী, জলঢাকা বাঁধ- যার অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ, জলঢাকা নদী, টেহরি বাঁধ- যা গঙ্গা নদীর ওপর অবস্থিত।
বর্তমাকে একটি প্রশ্ন সবার মুখেই শুনা যায়, প্রতিবেশী দেশগুলো কি বাংলাদেশের বন্যার জন্য কোনোভাবে দায়ী কিনা। কিন্তু এটি একটি জটিল প্রশ্ন যার সরল কোনো উত্তর নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদী ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে, যেগুলির ওপর বেশ কয়েকটি বাঁধ ও ব্যারাজ নির্মিত হয়েছে। এই বাঁধগুলির মধ্যে কিছু প্রধান বাঁধ ও ব্যারাজ রয়েছে। বাংলাদেশের বন্যার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে এবং এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকাও রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক নদী ভারতের উচ্চভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করে। এই নদীগুলোতে উজানে যে কোনো কার্যকলাপ, যেমন বাঁধ নির্মাণ, জলাধার নির্মাণ বা বন উজ্জ্বলন, বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। ফারাক্কা বাঁধ রয়েছে গঙ্গা নদীতে, যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত এবং এর প্রভাব বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে পড়ে। তিস্তা ব্যারাজ তিস্তা নদীতে অবস্থিত, যা ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত হয়। টিপাইমুখ বাঁধ- যার অবস্থান মণিপুর, বরাক নদী, ধুবরী বাঁধ- যার অবস্থান আসাম, ব্রহ্মপুত্র নদী, পোখরা বাঁধ- যার অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ, মহানন্দা নদী, কংসাবতি বাঁধ- যার অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ, কংসাবতি নদী, শোন নদীর বাঁধ - যার অবস্থান বিহার, শোন নদী, জলঢাকা বাঁধ- যার অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ, জলঢাকা নদী, টেহরি বাঁধ- যা গঙ্গা নদীর ওপর অবস্থিত।
এছাড়া অন্যান্য ছোট-বড়
বাঁধ ও ব্যারাজ রয়েছে যা দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলিতে অবস্থিত। তবে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ
করা জটিল, কারণ এই বাঁধগুলির কিছু ভারতীয় অংশে, কিছু বাংলাদেশি অংশে এবং কিছু আন্তর্জাতিক
সীমানায় অবস্থিত। এনিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তবে নদী
ব্যবহারের বিষয়ে সম্পূর্ণ সমাধান এখনও আসেনি। ১৯৯৬ সালে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি
নির্দিষ্ট সমঝোতা হয়েছিল। তবে এই চুক্তিও সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। গঙ্গা
ছাড়াও অন্যান্য নদী, যেমন তিস্তা নদী নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলে। তবে এসব
নদী নিয়ে কোনো স্থায়ী চুক্তি হয়ে ওঠেনি।চুক্তিগুলোর মূল সমস্যা হলো, ফারাক্কা ব্যারাজ
গঙ্গা নদীর উপর ভারত নির্মাণ করেছে, যার ফলে বাংলাদেশের পানি সরবরাহ কমে যায়। এই ব্যারাজকে
কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে।সেই সাথে তিস্তা নদীর পানি
বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহুবার আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। গঙ্গা
ও তিস্তা ছাড়াও আরও অনেক নদী রয়েছে যাদের পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ
রয়েছে।বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীর প্রবাহ ও পানির স্তর
পরিবর্তিত হচ্ছে, যা পানি বণ্টন সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলছে। তাছাড়া দুই দেশের জনসংখ্যা
বৃদ্ধির সাথে সাথে পানির চাহিদাও বেড়েছে, যার ফলে পানি বণ্টন নিয়ে প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
আবার দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের উপর নদী বিষয়ক চুক্তিগুলির প্রভাব পড়ে।
বর্ষাকালে ভারতের উজানে অবস্থিত বাঁধ থেকে পানি নিষ্কাশন করলে বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলে
বন্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিন্তু এই বন্যা উভয় দেশের জন্যই একটি সমস্যা। ভারতের উজানে
যেসব কার্যকলাপ হয়, তার প্রভাব নিশ্চয়ই বাংলাদেশে পড়ে।
ছবিঃ বাংলাদেশের বন্যা প্লাবিত মানচিত্র (FFWC বন্যা পূর্বাভাস মডেলের অধীনে এলাকা - Aug. 20, 2024)
সূত্রঃ https://reliefweb.int/map/bangladesh/flood-inundation-map-bangladesh-area-under-ffwc-flood-forecast-model-august-20-2024
তবে, বাংলাদেশের নিজস্ব ভৌগোলিক
ও অন্যান্য কারণও বন্যার জন্য দায়ী। এই জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নদী ভাগাভাগি
নিয়ে বিভিন্ন চুক্তি রয়েছে। তবে সময়মত এবং সঠিকভাবে এই চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন না
হওয়াও বন্যা পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দরকার
সততার সাথে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা। বন্যা সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতকে একসাথে
কাজ করতে হবে। উভয় দেশের মধ্যে নদীর পানির স্তর, বাঁধের অবস্থা ইত্যাদি তথ্য আদান-প্রদান
করতে হবে। উভয় দেশকে মিলে একটি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উভয় দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে।
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি
মোকাবেলায় বাংলাদেশকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো
স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উভয়ই হতে পারে। মূলত বন্যার প্রস্তুতির জন্য, বন্যা চলাকালীন
সময় এবং বন্যা পরবর্তী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপগুলোকে আমরা স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ বলে থাকি।
এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে: আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করে জনগণের সচেতনতা
বৃদ্ধি করা, বন্যা কবলিত এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করে তাদের খাদ্য, পানি
ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা, বিশুদ্ধ পানির জোগান নিশ্চিত করে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব
রোধ করা, বন্যা কবলিত এলাকায় মোবাইল হাসপাতাল চালু করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা,
বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের
জন্য ক্ষতিপূরণ ও নতুন বীজ সরবরাহ করে কৃষি উৎপাদন পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা ইত্যাদি।
আর দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপগুলোর মধ্যে, নদীর ভাঙন রোধ, নদী খনন ও নদী সংরক্ষণের মাধ্যমে নদী ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, বন্যা প্রবণ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করে বন্যার প্রভাব কমানো, বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার জন্য জলাধার নির্মাণ করা, বন উজ্জ্বলন রোধ করে বন সংরক্ষণ করা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া ও জনগণকে সতর্ক করা, বন্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বন্যা মোকাবেলায় প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা, আন্তর্জাতিকভা প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে মিলে নদী ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা মোকাবেলায় সহযোগিতা করা।এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্যান্য আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। যেমন- বন্যা প্রবণ এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম কানুন প্রয়োগ করা, কৃষকদের জন্য ফসল বীমা এবং বাড়িঘরের জন্য বীমা ব্যবস্থা করা, বন্যা মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া, ইত্যাদি।
বাংলাদেশে বন্যা সমস্যা সমাধানে টেকসই উদ্যোগ ও সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট কারণগুলো বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নদী ব্যবস্থাপনা, বাঁধ নির্মাণ, বন সংরক্ষণ, জলাধার নির্মাণ, নদীর দিক পরিবর্তন, উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নয়ন, সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এই সমস্যা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও অপরিহার্য। সরকারের সক্রিয় ভূমিকা এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে বন্যা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষজ্ঞ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ মোকাবেলা ও দেশকে বন্যামুক্ত করার লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন কিছু না। মোটা দাগে বলতে গেলে, বন্যা সমস্যার সমাধানের জন্য সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অনসীকার্য।
আর দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপগুলোর মধ্যে, নদীর ভাঙন রোধ, নদী খনন ও নদী সংরক্ষণের মাধ্যমে নদী ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, বন্যা প্রবণ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করে বন্যার প্রভাব কমানো, বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার জন্য জলাধার নির্মাণ করা, বন উজ্জ্বলন রোধ করে বন সংরক্ষণ করা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া ও জনগণকে সতর্ক করা, বন্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বন্যা মোকাবেলায় প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা, আন্তর্জাতিকভা প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে মিলে নদী ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা মোকাবেলায় সহযোগিতা করা।এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্যান্য আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। যেমন- বন্যা প্রবণ এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম কানুন প্রয়োগ করা, কৃষকদের জন্য ফসল বীমা এবং বাড়িঘরের জন্য বীমা ব্যবস্থা করা, বন্যা মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া, ইত্যাদি।
বাংলাদেশে বন্যা সমস্যা সমাধানে টেকসই উদ্যোগ ও সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট কারণগুলো বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নদী ব্যবস্থাপনা, বাঁধ নির্মাণ, বন সংরক্ষণ, জলাধার নির্মাণ, নদীর দিক পরিবর্তন, উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নয়ন, সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এই সমস্যা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও অপরিহার্য। সরকারের সক্রিয় ভূমিকা এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে বন্যা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষজ্ঞ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ মোকাবেলা ও দেশকে বন্যামুক্ত করার লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন কিছু না। মোটা দাগে বলতে গেলে, বন্যা সমস্যার সমাধানের জন্য সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অনসীকার্য।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন